পাইলস কি
আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। মলত্যাগের সময় তীরের বেগে রক্ত যায়? মুরগি জবাই করলে যেরকম রক্ত যায় সেই রকম রক্ত যায় মলদ্বারের বাইরে গোটা হয়েছে মলদ্বার দিয়ে নালার মত কিছু বের হয়ে আসে এবং মলদ্বার সব সময় চুলকানি ও বেদনাদায়ক হয়? তাহলে ব্লকটি আপনার জন্য।
পাইলস নির্দিষ্ট একটি রোগ। মলদ্বারের যেকোনো সমস্যা হলে আমরা সাধারণ মানুষ বলে থাকি পাইলসের সমস্যা হয়েছে আসলে ব্যাপারটা তা নয়। পাইলস সাধারণত পায়খানার রাস্তায় হয় এটা ঠিক কিন্তু এর নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে এবং সেটা নির্দিষ্ট চিকিৎসাও আছে এবং চিকিৎসা করলে এটা সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব।
কখনো কখনো এটা পায়খানার সময় ফুলে ওঠে আবার পায়খানা শেষে এটা ভিতরে নিজে থেকে ঢুকে যায় আবার কখনো কখনো আঙ্গুল দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয় এবং শেষ পর্যায়ে যখন আসে তখন এটা আর ভিতরে ঢুকতে চায় না।যেহেতু এটা মলদ্বারের রোগ সেহেতু চাপ পেলে স্বাভাবিকভাবে রক্ত বের হবে কিন্তু ব্যথা হবে না।
অনেকের ধারণা আছে পাইলস থেকে ক্যান্সার হয় কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। ক্যান্সার সম্পন্ন একটা আলাদা রোগ আর পাইলস আলাদা রোগ। অনেক সময় ক্যান্সারের রোগীরা বৃহদান্তে ক্যান্সার হলে বুঝা যায় না তখন ক্যান্সারের রোগীরা পাইলসের মতো সিম্প্রোনাসি বা মলাশয় এর ক্যান্সার বা বৃহদান্তের ক্যান্সার হলে পাইলস তৈরি হতে পারে। কিন্তু পাইলস থেকে কখনো ক্যান্সার হয় না।
অভ্যন্তরীণ পাইলস চার ধরনের হয়ে থাকে
post chuchiporto:
পাইলস কি
কখন বুঝবো একটি রোগীর পাইলস হয়েছে
যেভাবে বুঝব একটা রোগীর পাইলস হয়েছে যখন মলদ্বারের মুখের চারপাশের রক্তনালী গুলো ফুলে যায় তখন এটার উপরে চাপ লাগলে ওইখান থেকে রক্তপাত হয় তখন এটাকে বলি পাইলসের ব্লেডিং। আবার যখন এটা বেশি বড় হয়ে যায় নিচের দিকে ঝুলে যায় তখন এটা মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসে তখন আমরা এটাকে পাইলস বলি।কখনো কখনো এটা পায়খানার সময় ফুলে ওঠে আবার পায়খানা শেষে এটা ভিতরে নিজে থেকে ঢুকে যায় আবার কখনো কখনো আঙ্গুল দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয় এবং শেষ পর্যায়ে যখন আসে তখন এটা আর ভিতরে ঢুকতে চায় না।যেহেতু এটা মলদ্বারের রোগ সেহেতু চাপ পেলে স্বাভাবিকভাবে রক্ত বের হবে কিন্তু ব্যথা হবে না।
অনেকের ধারণা আছে পাইলস থেকে ক্যান্সার হয় কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। ক্যান্সার সম্পন্ন একটা আলাদা রোগ আর পাইলস আলাদা রোগ। অনেক সময় ক্যান্সারের রোগীরা বৃহদান্তে ক্যান্সার হলে বুঝা যায় না তখন ক্যান্সারের রোগীরা পাইলসের মতো সিম্প্রোনাসি বা মলাশয় এর ক্যান্সার বা বৃহদান্তের ক্যান্সার হলে পাইলস তৈরি হতে পারে। কিন্তু পাইলস থেকে কখনো ক্যান্সার হয় না।
পাইলস কত প্রকার
সাধারণত পাইলস দুই প্রকার
- অভ্যন্তরীণ পাইল
- বাহ্যিক পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলস চার ধরনের হয়ে থাকে
- প্রথম ডিগ্রী পাইলস: কোন গোটা থাকে না শুধু রক্তপাত হতে পারে কোন ব্যথায় থাকে না।
- দ্বিতীয় ডিগ্রী পাইলস: দ্বিতীয় ডিগ্রী পাইলসে অনেক সময় ভেতর থেকে কিছু একটা বের হয়ে আসে আঙ্গুরের মতো ,গোটা মাংসপিন্ডের মতো, মলত্যাগের পরে উঠে দাঁড়ালে আবার সেটা ভেতরে ঢুকে যায়।
- তৃতীয় ডিগ্রী পাইলস: তৃতীয় ডিগ্রী পাইলসে মাংসের গোটা স্তরটি বাইরে বের হয়ে আসে আর ভেতরে ঢুকতে চায় না। অনেকেই হাত দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়।
- চতুর্থ ডিগ্রী পাইলস: চতুর্থ ডিগ্রী পাইলস হলে ঝুলে থাকা মাংসপিণ্ড আর ভেতরে ঢুকবে না। তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অপারেশন করতে হবে। যা পাইলসের চিকিৎসা এর মধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাহ্যিক পাইলস
বাহ্যিক পাইলসে মলদ্বারের বাইরের প্রান্তে ছোট্ট ছোট্ট গোটা গোটা হয় এবং মলদ্বার থেকে লালার মতো রস বের হয় এর ফলে মলদ্বার প্রাসই চুলকানি ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে।
পাইলস কি কারনে হয়
পাইলস বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হল:
পাইলসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হচ্ছে ইসুবগুলের ভুষি। আমরা এই ওষুধ সবাই চিনি তবে এর সঠিক ব্যবহার ও সাবধানতা অনেকেরই অজানা। তাই ইসুবগুলের ভুষি কিভাবে খাবেন কখন খাবেন আর কখন খাওয়া উচিত না সেই বিষয়ে কিছু ধারণা দেই।
পাইলস হলে কিছু কিছু ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া যাবেনা
ট্রামাডল: এই ওষুধটি সাধারণত খাবেন না কারণ এর একটি কমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে পাইলস থেকে রেহাই পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
বাহ্যিক পাইলসে মলদ্বারের বাইরের প্রান্তে ছোট্ট ছোট্ট গোটা গোটা হয় এবং মলদ্বার থেকে লালার মতো রস বের হয় এর ফলে মলদ্বার প্রাসই চুলকানি ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে।
পাইলস কি কারনে হয়
পাইলস বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হল:
- দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা।
- পায়খানা করার সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় করা।
- শুকনা মরিচ বেশি খাওয়া।
- তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া।
- পানি কম খাওয়া।
- আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া।
- কাইক শ্রম কম করা।
- স্থূলতা।
- ভারী মালপত্র বহন করা।
- পায়ুপথে যৌনক্রিয়া।
- গর্ভকালীন সময়ে।
- যকৃতের রোগ।
- দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া হলে।
পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা
যারা প্রথম পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জা পান বিশেষ করে নারী রোগীরা তাদের জন্য এই ঘরোয়া চিকিৎসার পরামর্শ রইলো।পাইলসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হচ্ছে ইসুবগুলের ভুষি। আমরা এই ওষুধ সবাই চিনি তবে এর সঠিক ব্যবহার ও সাবধানতা অনেকেরই অজানা। তাই ইসুবগুলের ভুষি কিভাবে খাবেন কখন খাবেন আর কখন খাওয়া উচিত না সেই বিষয়ে কিছু ধারণা দেই।
- প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে ইসুবগুলের ভুষি ভালোভাবে গুলিয়ে নিবেন। যাতে শরবত দেখতে পরিষ্কার বা হালকা ঘোলা দেখায়।
- বানানোর পরে রেখে দিবেন না। সাথে সাথে খেয়ে ফেলবেন। অনেকেই রেখে দেয় এটা কিন্তু সঠিক ব্যবহার নয়।
- সাধারণত দিনে দুই বেলা খেতে হয়। তবে খাবারের পরে খেলে সবচেয়ে ভালো।
- এই ভুসি খেলে দিনে অন্তত ২ লিটার করে পানি পান করবেন। কেউ কেউ আছে এই ভুসি খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খায়না। যার ফলে গলনালী ও অন্তের মুখ আটকে যায়। আপনি অবশ্যই এই ঝোঁকি নিতে যাবেন না।
- রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে খাবেন না। তাতে আপনার বিরদন্ত অর্থাৎ যেখানে মল তৈরি হয় সেখানকার মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনার আগে যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ইসুবগুলের ভুষি খাবেন না।
- যদি পেট ব্যথা, বমি ভাব বা বমি হয় তাহলে খাবেন না।
- আগে ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার পরে যদি আপনার শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাহলে খাবেন না।
- যদি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পায়ু পথে পায়খানা আটকে গিয়েছে এমন হয় তাহলে খাবেন না।
- যদি আপনার মলত্যাগের অভ্যাসের হঠাৎ পরিবর্তন হয় এবং সেটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি থাকে।
- আগে থেকে পায়ু দিয়ে রক্ত যায় এবং সেটার কারণ এখনো জানা হয়নি এমন অবস্থায় ইসুবগুলের ভুষি খাওয়া যাবে না।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন একটানা ইসুবগুলের ভুসি খাবেন না কারণ এটা একটা ওষুধ। ডায়রিয়াসহ আরো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
- একটানা তিন দিন খাওয়ার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের কোন উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ব্যথা নাশক ঔষধ
ব্যাথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন। আরো অনেক ধরনের ব্যাথা নাশক ওষুধ আছে যেগুলো আপনাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। কারণ কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে যা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং পাইলসের সমস্যার সমাধান করা কষ্টসাধ্য হয়ে যেতে পারে।পাইলস হলে কিছু কিছু ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া যাবেনা
ট্রামাডল: এই ওষুধটি সাধারণত খাবেন না কারণ এর একটি কমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে পাইলস থেকে রেহাই পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
আইবুপ্রোফেন: পাইলসের সমস্যা থাকলে এই ওষুধটি ও খাওয়া ত্যাগ করবেন। কারণ এই ওষুধ রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
প্রথম ডিগ্রী ও দ্বিতীয় ডিগ্রী পাইলসের জন্য আমাদের খাবার নিয়ন্ত্রণেও ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কিন্তু তৃতীয় ডিগ্রী ও চতুর্থ ডিগ্রী পাইলস হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
কোন কোন সময় পাইলসের অপারেশনও করতে হয়। কিছু কিছু মানুষের ধারণা যে পাইলস অপারেশন করলে ভালো হয় না। আপনারা এসব কথায় কান দিবেন না। পাইলসের কয়েকটি অপারেশন সম্পর্কে ধারণা নিচে দেওয়া হলো।
বাসায় বসে ওষুধ ছাড়াই পাইলসের ব্যথা কমানোর উপায়
বাসায় বসে ওষুধ ছাড়াও বিভিন্নভাবে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললেই অনায়াসে পাইলসের ব্যথা কমানো সম্ভব। সেগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা।- ব্যথার জায়গাটা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। যেকোনো একটি মাঝারি পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে বসে থাকতে পারেন এবং এটি দিনে তিনবার করতে পারেন অথবা আপনার প্রয়োজন মত করবেন।
- কিছু বরফের টুকরা কাপড় বা কোন কিছুতে পেঁচে নিয়ে পাইলসের গোঁটা গুলোতে লাগাতে পারেন। এতে মলদ্বারের মুখে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে অনেক আরাম পাবেন।
- বিছানায় শোয়ার সময় পা উঁচু করে রাখতে পারেন। তাহলে গোটাগুলোতে রক্ত চলাচল করতে পারবে। পায়ের নিচে বালিশ দিতে পারেন বা খাটের পায়ের নিচের দিকে কিছু দিয়ে এক পা উঁচু করে রাখতে পারেন।
- পায়ুপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখবেন। মলত্যাগ করার পরে খুব জোর দিয়ে মোছা যাবে না। টয়লেট পেপার হালকা ভিজিয়ে তারপর সেটা দিয়ে হালকাভাবে মুছতে হবে।
- মলত্যাগ করার সময় খুব জোরে চাপ দেওয়া যাবে না। অনেক লম্বা সময় ধরে মলত্যাগ করবেন না। মলত্যাগ করতে করতে মোবাইল টেপা বা বই পড়া এরকম কোন অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করার চেষ্টা করবেন। তা না হলে পাইলসের সমস্যা সমাধান অনেক কষ্টকর হয়ে পড়বে।
- পায়খানার চাপ আসলে সেটাকে আটকে না রেখে সাথে সাথে পায়খানা করবেন। কারণ পায়খানা আটকে রাখলে দিন দিন সেটা থেকে পানি শুকিয়ে যায় এবং শক্ত হতে থাকে। তাই চাপ আসলে দেরি না করে সাথে সাথে বাথরুমে চলে যাবেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য এড়িয়ে চলতে খাদ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার নিশ্চিত করবেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। এই দুটো কাজ করলে সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাইলসের সমস্যাগুলো উপশম হয়।
- নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করবেন ভারী ব্যায়াম বা প্রতিদিন দৌড়াতে হবে এমন নয়। শরীরকে চলমান রাখতে হবে।
- ওজন অতিরিক্ত হলে কমিয়ে ফেলবেন।
কখন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিবেন
- যদি সাত দিন বাসায় ঘরোয়া চিকিৎসা নেওয়ার পরেও পাইলসের কোন উন্নতি না হয়।
- যদি বারবার পাইলস হতে থাকে।
- বয়স যদি 55 এর বেশি হয় এবং প্রথমবারের মতো পায়েসের লক্ষণ দেখা দেয়।
- কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন
- যদি পাইলস থেকে পুজ বের হয়।
- যদি গায়ে খুব জ্বর আসে, কাঁপুনি হয় এবং খুব অস্বস্তি লাগে।
- যদি অনবরত রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে।
- যদিও অনেক বেশি রক্ত যায়। কমোডের পানি লাল হয়ে গেছে বা বড় বড় রক্তের চাকা যায়।
- যদি পায়খানা আলকাতরার মত কালো হয়।
চিকিৎসা
পায়ুপথের যেগুলো সমস্যা জনিত কারণে টোকাটি, হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি চিকিৎসা গ্রহণ না করে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যাবেন। এই ধরনের অসুখের কথা অনেকেই চেপে রাখেন বিশেষ করে নারী রোগীরা এই কথাগুলো বলতে লজ্জা ও সংকোচবোধ করে। এইটা একটা কমন সমস্যা এইটা সবারই হয়ে থাকে তাই কোন সংকোচ বোধ না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন কারণ চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করে যথাযথভাবে চিকিৎসা করতে পারেন।প্রথম ডিগ্রী ও দ্বিতীয় ডিগ্রী পাইলসের জন্য আমাদের খাবার নিয়ন্ত্রণেও ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কিন্তু তৃতীয় ডিগ্রী ও চতুর্থ ডিগ্রী পাইলস হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
কোন কোন সময় পাইলসের অপারেশনও করতে হয়। কিছু কিছু মানুষের ধারণা যে পাইলস অপারেশন করলে ভালো হয় না। আপনারা এসব কথায় কান দিবেন না। পাইলসের কয়েকটি অপারেশন সম্পর্কে ধারণা নিচে দেওয়া হলো।
- লংগো অপারেশন: প্রচলিত এই অপারেশন দ্বারা তিনটি অংশ কাটা হয় এবং এই অপারেশন করে শতকরা ১০০% রুগি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এটাতে খরচ খুব বেশি হয়।
- লেজার অপারেশন: পাইলসের চলিত অপারেশন গুলোর মধ্যে আরেকটি অপারেশন এখানে বিম ব্যবহার করা হয় এবং প্রচলিত অপারেশনে সার্জিক্যাল লাইভ ব্যবহার করে কাটাকাটি করা হয়। প্রচলিত অপারেশনের মতো এর তিনটি অংশ কাটা হয় এবং কাটা শুকাইতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগে।
- টি এইচ ডি অপারেশন: এটি পাইলসের একটি অত্যাধুনিক অপারেশন। এই অপারেশনের পাইলস কাটা হয় না। বিশেষ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাইলসের রক্ত সরানোর বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বের হয়ে আসা গোটা গুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই অপারেশনে ব্যথা কম হয় এবং ড্রেসিং দরকার হয় না।
Edu tricks আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয় ;
comment url